(এটি সংক্ষিপ্ত লেখা, একটি নিদিষ্ট বিষয়ে আলোকপাত করে লেখা, পুরোপুরি ভ্রমণ ব্লগ নয়, তবে ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট, আশাকরি মডারেটরবৃন্দ বিষয়টি উপলব্ধিতে নিবেন)
গত ১৫-১৭ই জানুয়ারি’২০২০ আমি অফিসের বার্ষিক ট্যুরে সাজেক, রাঙ্গামাটি যাই। সাজেক রাঙ্গামাটির সীমানায় পড়লেও সেখানে যেতে হয় খাগড়াছড়ি সদর হয়ে, খাগড়াছড়ির সদর থেকে চান্দের গাড়ি (এক ধরনের শক্তিশালী জীব, পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলে উপযুক্ত করে বানানো) করে সাজেক ভ্রমণ করতে হয়। মেঘের রাজ্যে যেতে হলে পথে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে হয় নিরাপত্তার জন্য।
আমরা সকাল দশটায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে পৌঁছাই, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীরা চমৎকারভাবে সকল গাড়িগুলো লাইন করছিল তাদের মাঠে আর একজন মাইকে বারবার বলছিল ছবি না তুলতে, কিন্তু কে শুনে কার কথা! মানলাম এই যুগে ছবি তুলবেই সুন্দর দৃশ্য দেখে, কিন্তু যখন দেখবেন গার্বেজ বক্স থাকার পরেও ব্যাম্বু চা খেয়ে ব্যাম্বুর টুকরোটি বক্সে না ফেলে যেখানে সেখানে ছুৃঁড়ে দিচ্ছে তখন কি ধারণা হয় এই সব লোকদের প্রতি? (অনেকেই দেখেছি নির্দিষ্ট বক্সে ফেলতে, কিন্তু বেশিরভাগ পরিস্কার পরিছন্ন বিষয় দেখলাম উদাসীন)
সাজেকের সম্ভবত সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম কংলাক, সেখানে অনেক কষ্টে উঠার পর মনে হল ময়লার ভাগাড়ে এসে পড়েছি! এইসব ময়লা কিন্তু বিদেশীরা বা স্থানীয় সম্প্রদায় ফেলেনি, ফেলেছি আমরা, শহরের সভ্যতার দাবিদার পাবলিকরাই।
নিজেরাই যদি নিজের সম্পদ, সুন্দর্য, সুনাম ধরে না রাখতে পারি তাহলে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে দাঁড়াবো কি করে?
আসুন নিজেরা সচেতন হই, অন্যদের সচেতন করি, ভ্রমণসহ সব সময় ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি।
( নিচে সাজেকের সকালের স্বর্গীয় ছবি আর কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় ময়লার ছবি দিলাম)
Leave a Reply