হিরা সিকদারের এমন বি’কৃত রু’চির শি’কার হয়েছেন একই পরিবারের তিন বোন এবং আরেকটি পরিবারের দুই বোন। আর এ খবর প্রকাশ হওয়া ঘটনার শি’কার দুই নারীর বিয়ে ভে’ঙে গেছে।
অ’ভিযু’ক্ত হিরা সিকদার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউপির পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল খালেক সিকদারের ছেলে। ২৮ অক্টোবর রাতে হিরাসহ দুজনের বি’রুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় মা’মলা করেন ভু’ক্তভো’গী এক কিশোরীর বাবা। আর ১১ জনের পক্ষে থানায় আরেকটি ধ’র্ষণ মা’মলা করেন আরেক অভিভাবক। বর্তমানে প’লাতক রয়েছেন হিরা সিকদার।
১৯ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর গ্রামের সিকদার বাড়ি এলাকায় হিরা সিকদারকে মা’রধর করা হয়। এ সময় হিরার পকেট থেকে ব্যবহৃত মোবাইল পড়ে যায়। পরবর্তীতে মোবাইলটি একই গ্রামের এক ব্যক্তি কুড়িয়ে পান। সেই মোবাইলে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে হিরার অ’শ্লীল ভিডিও দেখতে পান। এর মধ্যে মোবাইলটি পাওয়া ব্যক্তির মেয়ের ভিডিও রয়েছে। এরপর এক এক করে গ্রামের বেশিরভাগ ব্যক্তির মোবাইলে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
অ’ভিযু’ক্ত নওরোজ হিরা সিকদার
১১ ভু’ক্তভো’গীর পক্ষে থানায় অভিযোগ দেয়া একজন জানান, হিরা সিকদার বিভিন্ন সময় গ্রামের মেয়েদের নানা প্র’লোভন দেখিয়ে শা’রীরি’ক স’ম্পর্ক করে আসছিল। এর মধ্যে তার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল খারাপ হয়েছিল। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষমতায় ওই শিক্ষার্থীদের ফল বদলে দেয়ার নাম করে ধ’র্ষণ করে সে। আবার কাউকে সরকারি চাকরি দেয়া, বিয়ে ক’রে সংসার করা, ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়ে তাদের ধ’র্ষণ করেছে।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১১টি মেয়ের সঙ্গে শা’রীরি’ক স’ম্পর্ক করেছে হিরা সিকদার। এদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। শা’রীরি’ক স’ম্পর্কের সময় এসব মেয়ের অগোচরে হিরা তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও দেখিয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভ’য়ভী’তি দেখিয়ে তাদের ফের ধ’র্ষণ ক’রে আসছিল।
এদের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ের পর তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ওই ভিডিও দেখায় হিরা সিকদার। ফলে তাদের তালাক দেয়া হয়। এছাড়া তার ধ’র্ষ’ণের শিকার হয়েছে একই পরিবারের তিন বোন এবং আরেক পরিবারের দুই বোন। কিন্তু ভিডিওর জন্য তারা কারো কাছে কোনো অ’ভিযো’গ ক’রতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিরার ঘনিষ্ঠ এক স্বজন জানান, হিরা বিবাহিত। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতো। ওই সময় তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে হিরা এক ছেলেকে ব’লাৎকা’র ক’রে। এ ঘ’টনা এলাকাবাসী দেখে ফেললে হিরার মাথার চুল থেকে শুরু করে ভ্রু পর্যন্ত কেটে দেয়। পরে তাকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর হিরাকে তালাক দেয় স্ত্রী। এরপর থেকে হিরা গ্রামের বাড়িতে থাকা শুরু করে।
বিষয়টি জেনে অ’ভিযু’ক্ত হিরা যে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সেই কমিটির সভাপতি মীর মহিসন ভীষণ ক্ষু’ব্ধ। তিনি বলেন, আমি হিরা সিকদারের বিচার চাই। তার বি’রু’দ্ধে ধ’র্ষণের মা’মলার বিষয়টি আমি জানি। আমরাও তার বি’রুদ্ধে আ’ইনি পদক্ষেপ নেব।
মা’মলা দায়ের ও অ’ভিযো’গের বিষয়টি স্বীকার করে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, হিরা সিকদারের বি’রুদ্ধে আরো নারী নি’র্যাত’নের প্রমাণ মিলেছে। তাকে গ্রে’ফতা’রে পুলিশের অ’ভিযান চলছে।
গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Leave a Reply