আজ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ পবিত্র কোরআন ও হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে।
শুক্রবার দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক সুধী-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বোচাগঞ্জ উপজেলার নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি রাস্তা এবং ফুটকিবাড়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১০টি বাড়ির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় ধর্ম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে যারা দেশকে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চায়, সেসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী বিরূপ মন্তব্য করছে। তারা জানে না, ভাস্কর্য কি জিনিস; আর মূর্তি কি জিনিস। তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে দিতে চায় না। জাতির পিতার এসব ভাস্কর্য দেখে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে জানবে। নতুন প্রজন্ম যখন এসব ভাস্কর্য দেখবে, তখন তারা বঙ্গবন্ধুকে জানবে। কীভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে তা জানা যাবে না। এ ধর্ম ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে বাংলাদেশ সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে দিতে চায় না। সে জন্য তারা ভাস্কর্যকে মূর্তি হিসেবে উপস্থাপন করে দেশে একটা অরাজকতা তৈরি করতে চায়। তারা জানে না এ ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গেছে। জঙ্গিবাদের ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, প্রকৃত ধর্ম অনুসরণ করেই বাংলাদেশ চলবে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ পবিত্র কোরআন ও হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে। হিংসা, বিদ্বেষ ও সন্ত্রাসের জায়গা ইসলামে নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অতীতেও ধর্মীয় শিক্ষাটাকে বিকৃত করে, ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিপথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
আরও সংবাদ
বিক্ষোভে যোগ দিতে সিলেট যাচ্ছেন হেফাজতের আমীর-মহাসচিব
দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর ও মহাসচিব শনিবার সিলেটে যাচ্ছেন।
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবীর (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ নগরীর ঐতিহাসিক সিটি পয়েন্টে আজ অনুষ্ঠিত হবে। সেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতেই তারা সিলেটে যাচ্ছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা নূর হুসেইন কাসেমী, আল্লামা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে সব উপকমিটি ও আহবায়করা নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সব দাওয়াতী উপকমিটি, অর্থ উপকমিটির দায়িত্বশীলরা বৃহস্পতিবার এদারা ভবনে বাস্তবায়ন কমিটির সম্মেলনে কাজের বিবরণী পেশ করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটের নবাগত পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা। মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের নেতৃত্বে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়কারী মাওলানা ইউসুফ আহমদ খাদিমানী, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা মুজিবুর রহমান কাসেমী ও মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ এ সময় বলেন, শাহজালালের পুণ্যভূমিতে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ। দেশের কল্যাণে আলেম সমাজ সর্বদা তৎপর। শান্তি-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ন রাখা সবার দায়িত্ব।
গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Leave a Reply