ফুলশ’য্যার এই বিশেষ রাতটির জন্য প্রতিটি নারীরই উচিত কিছু প্রস্তুতি নেয়া আগে থেকেই। জেনে নিন ফুলশ’য্যার আগে প্রতিটি নারীরই যে প্রস্তুতি গু’লো নেয়া উচিত সেই স’ম্পর্কে। মা’নসিক প্রস্তুতিঃ ফুল শয্যার আগে প্রতিটি নারীরই প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতির। এমনিতেই বিয়ের একটা বড় ধকল প্রতিটি নারীর মনকে দূ’র্বল করে দেয়।প্রিয়জনদেরকে ছেড়ে আসার বেদনা ভোলার আগেই নতুন জীবনে পা দিতে হয়।
তাই সব মিলিয়ে মন খা’রাপ থাকে অধিকাংশ নারীর। তাই ফুল শয্যার আগে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতির।প্রতিটি নারীর জীবনেই বিয়ে একটি বিশেষ দিন। কিশোরী বয়স থেকেই বৌ সাজার অপেক্ষা করতে করতে শেষ পর্যন্ত যখন কা’ঙ্ক্ষিত দিনটি চলে আসে তখন ঘাবড়ে যান অধিকাংশ নারীই। কীভাবে সামলে নিবেন নতুন জীবনের সব মূহূর্ত এটা নিয়ে দু’শ্চিন্তায় বি’ষাদগ্র’স্থ হয়ে যান নারীরা। বিশেষ করে ফুল শ’য্যার রাতটা নিয়ে মনে জমে থাকে নানান আ’ত’ঙ্ক ও কৌ’তুহল।
নিজেকে বোঝান যে এটাই জীবনের বাস্তবতা। আপনার স্বামীই আপনার সবচাইতে কাছের মানুষ বিয়ের পরে। তাই তাকে সহজ ভাবে গ্রহণ করার জন্য মনকে প্রস্তুত করুন।ওয়াক্সিংঃ বিয়ের আগে প্রতিটি নারীরই উচিত ওয়া’ক্সিং করে নেয়া।
বিয়ের সময়ে শরীরের অবা’ঞ্ছিত লোম অত্যন্ত দৃ’ষ্টি’কটু দেখায়। তাই বিয়ের দুই তিনি দিন আগে ও’য়া’ক্সিং করিয়ে নেয়া ভালো।তবে বেশি আগে করা উচিত নয়। ভালো কোনো পার্লারে অথবা ঘরেই করে নিতে পারবেন ওয়া’ক্সিং।
স্পা ও বডি ম্যাসেজঃ শুধু কি শরীরকে লোম মুক্ত করলেই হবে? ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করা চাই বিয়ের আগে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য এবং ত্বককে আরো কোমল করে তোলার জন্য স্পা করিয়ে নিতে পারেন।
আপনার ত্বকের সাথে মানানসই কোনো স্পা করিয়ে নিতে আপনাকে যেতে হবে ভালো কোনো পার্লারে।সেই স’ঙ্গে শরীরটাকে ঝরঝরে করে তুললে বডি ম্যাসাজও করিয়ে নিতে পারেন। পরিচ্ছন্নতাঃ ফুল শয্যার রাতে পরিচ্ছন্ন থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
আর তাই অবশ্যই এসময়ে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখু’ন। প্রয়োজনে বিয়ের মেকআপ তুলে ফেলার পরে নিজেকে ঝরঝরে করে তুলতে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। সুগন্ধিঃ সুগন্ধ সবসময়েই আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।আর তাই ফুল শয্যার রাতে ব্যবহার করুন মিষ্টি কোনো সুগন্ধি। এতে আপনার স’ঙ্গী মুগ্ধ হবেন এবং আপনার প্রতি তার আকর্ষণ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
জ’ন্ম নিয়ন্ত্র’ণ ব্যবস্থাঃ ফুল শয্যার রাতে সবচাইতে জরুরী বিষয়টি হলো জ’ন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমা’দের সমাজে অধিকাংশ নারীই বিয়ের সময় কুমারী থাকেন।আর তাই আগেই থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বিয়ের পরপরই সন্তান গ্রহণ করতে না চাইলে জ’ন্ম নিয়ন্ত্র’ণ ব্যবস্থা নিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। এতে বিয়ের পর কোনো অনাকা’ঙ্খিত পরিস্থিতির মুখোমুখি ‘হতে হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Leave a Reply