ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের স’ন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। রবিবার এক বিবৃতি তিনি এই ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শেষ সময়ে
নেওয়া এই সিদ্ধান্ত যু’দ্ধ কবলিত ইয়েমেনের মানবিক সং’কট আরও জোরালো করে তুলবে বলে মনে করছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শি’য়াপন্থী হুথি বি’দ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথিরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ
তাদের বি’রুদ্ধে যু’দ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সা’মরিক জোট। সৌদি জোটের বিমান হা’মলায় নি’হত হয় লক্ষাধিক বে’সামরিক মানুষ। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইয়েমেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হুথি আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক নাম উল্লেখ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান আনসার আল্লাহকে স’ন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার উদ্দেশ্য হলো তাদের স’ন্ত্রাসী কর্মকা’ণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত
হা’মলা চালানো বেসামরিক নাগরিক, অবকাঠামো এবং বাণিজ্যিক সমুদ্র পরিবহন ঝুঁকির মুখে ফেলা। পম্পেও বলেন, তারা যে অভিযান চালাচ্ছে তাতে বহু মানুষকে হ’ত্যা করা হয়েছে, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখেছে এবং ইয়েমেন সং’কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান অস্বীকার করছে।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দশ দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে ইরানের সঙ্গে নতুন মার্কিন প্রশাসনের কূ’টনৈতিক তৎপরতা শুরু এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে মাইক পম্পেও এর ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে ইরান এবং হুথি বিদ্রোহী উভয়েই।
গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Leave a Reply