খালামনির কাছ থেকে শুনেছি, বিয়ের পর তার শাশুড়ি তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে খাবার খেতে দিতেন। এটার কারন হলো একটা মেয়ে যখন নিজের আপন মানুষ গুলোকে ছেড়ে নতুন একটা বাড়িতে চলে আসে তখন সে চাইলেও নিজের ইচ্ছে মতো ধরে খাবার খেতে পারে না। পাঁচজন পাঁচ রকমের কথা বলে। ঘরভর্তি মেহমান আর লোকজনদের নজর এড়িয়ে খালামনির শাশুড়ি তাকে খাবার খেতে দিতো আর বলতো, আমি জানি তুমি একবারে বেশি করে খাবার খাও না।
তোমার বাড়তি খাবারের অভ্যেস আছে। তোমার মা আমার হাত ধরে বলেছিলেন, আমার মেয়ে খিদেয় মরে গেলেও কখনও মুখ ফুটে খাবার চাইবে না। ও ভীষন চাপা স্বভাবের।
খাওয়া নিয়ে কত জ্বালায় আমাকে। একবারে পেট ভরে খাওয়ার অভ্যেস নেই। এ জন্য ওকে আমি তিনবেলা খাওয়ার পরেও বাড়তি কিছু করে খাওয়াই। এখন ও আপনাদের বাড়ির বউ আপনারা খেয়াল না রাখলে আর কে রাখবে বলেন?
তোমার মাকে আমি কথা দিয়েছি নিজের মেয়ের মতো খেয়াল রাখবো তোমার। কথার খেলাপ কি করে করি বলো?
প্রতিটা মেয়েই তার জীবনে মায়ের মতো একটা শাশুড়ি চায় যে একদম নিজের মেয়ের মতো করেই আদর করবে। বউ আর মেয়ের মধ্যে কখনও তফাত খুঁজবে না। কিন্তু এরকম শাশুড়ি হয়তো অনেক কপাল করে পাওয়া যায়। শুধু শাশুড়ি মায়ের মতো হলেই হবে না। বউকেও শাশুড়িকে নিজের মায়ের মতো সম্মান করতে হবে। ঘরে ঘরে বউ, মেয়ে আর শাশুড়ি, মায়ের মধ্যে তফাত করে বলেই এতো অশান্তি।